আম গেছে, ছালাও হারাতে পারেন প্রতিমন্ত্রী মুরাদ !

০৭ ডিসেম্বর ২০২১

বেফাঁস মন্তব্য আর ‘বিতর্কিত ফোনালাপ’ করায় আম-ছালা দুটোই হারাতে বসেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকার ফোনালাপ ফাঁসের পর সময় বেঁধে দিয়ে তাকে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া এ নির্দেশের কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এদিকে কথা ওঠেছে, একই কারণে এমপিও (সংসদ সদস্য) পদও হারাতে হতে পারে তাকে। যদিও নীতিনির্ধারক বা দায়িত্বশীলদের তরফ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু বলা বা ইঙ্গিত দেয়া হয়নি।

বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ও টিভি টকশোতে লাগাম ছাড়া কথা বলছিলেন প্রতিমন্ত্রী মুরাদ। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যারিষ্টার নাতনি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে থাকা ছাত্রলীগের নেত্রীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এ সমালোচনার আগুনে ঘি হিসেবে কাজ করে ওই ফোনালাপ। ফোনালাপটির এক প্রান্তের কণ্ঠ প্রতিমন্ত্রী মুরাদের বলে প্রচার হয়। ফোনালাপটির তৃতীয় কণ্ঠস্বরটি নিজের বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন চিত্রনায়ক ইমন। আর এ আগুনেই কপাল পুড়ে গেল প্রতিমন্ত্রী মুরাদের। কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় ও অশ্রাব্য শব্দ উচ্চারণ করা ফোনালাপ ঘিরে বিভিন্ন মহল থেকে পদত্যাগসহ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি ওঠে জোরালো ভাবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সমালোচনায় সরব হয় নেটিজেনরা। তারা মনে করেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল একটা জায়গা থেকে তার এমন কর্মকাণ্ড ও মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়, তাকে মন্ত্রীসভায় রাখাও ঠিক হবে না।

অন্যদিকে পদত্যাগের নির্দেশের বিষয়টি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে বার্তাটি পৌঁছে দিয়েছি। মঙ্গলবারের মধ্যেই তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে মুরাদ হাসানের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ডা. মো. মুরাদ হাসান। ২০০৮ সালেওএকই আসনে থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে সরকার গঠনের সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে ৫ মাসের মাথায় দফতর পরিবর্তন করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয় তাকে।

এমকে

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর