২০ জেলের পরিবারে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা

০৭ ডিসেম্বর ২০২১

ভোলা প্রতিনিধি:

নিখোঁজ ২০ জনের তালিকায় আছেন কারও বাবা, কারও সন্তান, কারও স্বামী। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে না পেয়ে শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। তারা আদৌও জীবিত অবস্থায় ফিরবেন কিনা- এনিয়ে পরিবারগুলোতে বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠেছে ভোলার চরফ্যাশনের ৩ টি এবং ভোলা সদরের ১ গ্রাম। ট্রলার ডুবির ঘটনায় দুই দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন তারা। তাদের সবার পরিচয় জেলে।

রোবার ( ৫ ডিসেম্বর ) রাতে সাগরে মাছ ধরা শেষে ফেরার পথে একটি জাহাজের ধাক্কায় তাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে মাত্র ১জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ২১ জন জেলে ছিল ডুবে যাওয়া ট্রলারটিতে।

নিখোঁজ জেলেরা হলেন- বাচ্চু মাঝি, ফারুক, জাভেদ, আলামিন, মালেক, ইউসুফ, জলিল, রফিক, মাসুদ, বাচ্ছু, নুরুল ইসলাম, হারুন, নূর আলম, বাশার, সুমন, শাহিন, দীন ইসলাম, নাগর মাঝি ও জসিম। আর উদ্ধার করা জেলের নাম হাফিজ। তাদের বাড়ি উপজেলার আব্দুল্লাপুর, জাহানপুর, নীল কমল ও ভোলা সদরের ইলিশা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।

সুমনের বৃদ্ধ বাবা নূরুল ইসলাম চৌধুরী কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলের তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সে বাবার জন্য কান্না-কাটি করছে। কিন্তু সাগর মোহনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় সুমন এখনো নিখোঁজ। এখন তার একমাত্র সন্তান কে দেখবে। আমরা ক্ষতিপূরণ চাই। খালেকের ছেলে আ. রহিম বলেন, বাবা মাছ ধরা শেষে করে বাড়িতে ফেরার কথা ছিল, বাবার চিন্তায় আমাদের পুরো পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে।

চরফ্যাশন উপজলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আল নেমান বলেন, নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের জন্য কোস্টগার্ড চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা এখনো ঢালচর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এসএল আর-৫ নামে একটি ট্রলারের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ধাক্কা দেয়া ট্রলারের নামে একটি মামলার করার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও নিখোঁজ জেলেদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

কামরুজ্জামান শাহীন/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর