ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতির সব সূচক

০৮ ডিসেম্বর ২০২১

করোনার কারণে দীর্ঘদিনই কিছুটা মন্থরে চলা অর্থনীতির চাকা চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই ঘুরতে শুরু করেছে। রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে পণ্য আমদানি-রফতানি। বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ স্বাভাবিক ধারায় ফিরেছে। এক কথায় ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে অর্থনীতির যাবতীয় সূচক। এদিকে পরিস্থিতি করোনা হানা দেয়ার আগের মতো অনুকূলে আসতে থাকায় নিজেদের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও নতুন শিল্প স্থাপনের জন্য ব্যাংকের কাছে ঋণ চাচ্ছেন উদ্যোক্তাদের অনেকেই, অনেকেই নবায়ন করছেন আগের ঋণ। আর ঋণের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আমানতের ক্ষেত্রে বাড়তে শুরু করেছে সুদের হার। ঋণের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে আমদানি ব্যয় বড় ভূমিকা রেখেছে বলেই মনে করছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, করোনার কারণে বেসরকারি খাতে ব্যাংক ঋণ বিতরণে থাকা মন্দা ভাবটা অনেকটাই কেটেছে। গত ১৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে গেল অক্টোবরে। সেই সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে সুদের হার। আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বর, আবার সেপ্টেম্বরের চেয়ে অক্টোবরে বেড়েছে মেয়াদি আমানতে সুদ হার। সেপ্টেম্বরে আমানতের গড় সুদ দাঁড়ায় ৪ দশমিক ০৮ শতাংশে, আগস্টে ছিল সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ০৫ শতাংশ।

পক্ষান্তরে অক্টোবরে ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে ঋণের প্রবৃদ্ধি। সেপ্টেম্বরে ৮.৭৭ শতাংশ হলেও মে মাসে ছিল মাত্র ৭.৫৫ শতাংশ। মে মাসের এ হার দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অক্টোবর শেষে ঋণের স্থিতি বেড়ে দাঁড়ায় ১২ লাখ ১৯ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে ১২ লাখ ১০ হাজার ৭২২ কোটি ও আগস্টে ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা ছিল ঋণ স্থিতির পরিমাণ ।

তথ্যানুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে করোনার প্রথম ঢেউকালে ঋণের প্রবৃদ্ধি নেমে আসে ৮.৬১ শতাংশে। এরপর সরকারের দেয়া প্রণোদনার ঋণের ওপর ভর করে গত অর্থবছরের (২০২০-২১) জুলাইয়ে প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়ায় ৯.২০ শতাংশ। পরবর্তীতে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে বাড়লেও করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় প্রবৃদ্ধিটা কমে যায় মে মাসে। আগষ্টে ৯.৩৬ ও সেপ্টেম্বরে ৯.৪৮ শতাংশ হয় প্রবৃদ্ধি।

প্রসঙ্গত,‌ চলতি অর্থবছরের জন্য ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেসরকারি খাতে। গত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশে নেমে আসে এ প্রবৃদ্ধি।

এমকে

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর