উন্নয়ন কর্মকাণ্ডই জয়ের পুঁজি মেয়র শামীমের

০৮ ডিসেম্বর ২০২১

আব্দল হাকিম ডালিম, পীরগঞ্জ (রংপুর):

তাজিমুল ইসলাম শামীম মেয়র পদে প্রথমবারে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নেয়ার পরই আধুনিক রূপ ধারণ করতে শুরু করে রংপুরের পীরগঞ্জ পৌরসভা। তার অক্লান্ত পরিশ্রম ও যুগপোযোগী পরিকল্পনার কারণে গঠনের পর মাত্র ৫ বছর বয়সে 'গ ' শ্রেণী থেকে 'খ' শ্রেণীতে উন্নীত হয়েছে এ পৌরসভা। এ সময়ে বাস্তবায়িত হয়েছে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। নিশ্চিত হয়েছে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। শুধু কি তাই, তার আমলেই ডিজিটাল হয় এ পৌরসভা। দেশে থাকা মোট ১০ টি ডিজিটাল পৌরসভার একটি এখন পীরগঞ্জ পৌরসভা। আর এসব কারণেই নির্বাচনে মেয়র পদে পুনরায় জয় পেতে তাকে একটু বেগ পোহাতে হয়নি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে পাওয়া যায় এসব তথ্য।

২৮ নভেম্বর এ পৌরসভার ভোট হয়। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। তার প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন দুই জন। আইনজ্ঞ ( এ্যাডভোকেট) শামীমের আরেকটা পরিচয়- তিনি উপজেলা আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক, বড় পরিচয় তিনি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ভাসুরপুত্র। এ পৌরসভার প্রথম মেয়রের গৌরবটাও তার।

জানা গেছে, প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়ার শুরু থেকেই পৌরবাসীদের বিভিন্ন সুবিধা বাড়াতে ও পৌর এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছেন মেয়র শামীম। উপজেলা সদর এলাকার (পৌরসভা গঠনের আগে) সড়কগুলোতে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় এক সময় মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ ছিল না। তিনি সেগুলো কংক্রিটের ঢালাইয়ের মাধ্যেমে সংস্কার করে নির্বিঘ্নে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন। নির্মাণ করেছেন ব্রিজ-কালভার্ট। শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থাই নয়, এগিয়ে আসেন অসহায় ও দুস্থদের ভাগ্যন্নোয়নে। স্বচ্চতার সঙ্গে তাদের জন্য সরকার প্রদত্ত সব ভাতা নিশ্চিত করেন। পৌর এলাকায় নিশ্চিত করা হয়েছে শতভাগ বিদ্যুৎ, সড়ক বাতি, বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা। পানি নিষ্কাশনের জন্য করা হয়েছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা। চিত্ত বিনোদনের জন্য গড়ে তুলেছেন পার্ক।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, এ ৫ বছরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর অধিদপ্তরের আওতায় গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৯ কিলোমিটার আর সিসি ড্রেন নির্মান, সলিড ওয়েষ্ট ল্যান্ডফিল্ড নির্মাণ করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ১০ টি কমিউনিটি ও ৪ টি পাবলিক টয়লেট, ৩ টি গভীর নলকুপ এবং ৩১ কিলোমিটার পানি সরবরাহ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এ লাইনের মাধ্যমে ১ হাজার বাড়িতে বিশুদ্ধ পানির সংযোগ দেয়া হয়েছে। বড়বিলা বিলে স্লুইটস গেট পাড়ে পর্যটন পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। মুল শহরের পাশাপাশি বর্ধিত এলাকাতেও নির্মাণ করা হয়েছে টেকসই সড়ক। এছাড়া পৌর শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া আখিরা নদীর দু’পাড়েই ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ দৃষ্টি নন্দন পর্যটন পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের বরাদ্দের বিষয়টি চুড়ান্ত পর্ায়ে আছে ।

পৌর অফিস সূত্র আরো জানায়, ২০১৬ সালে গঠন হয় এ পৌরসভা। প্রথম নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হন তাজিমুল ইসলাম শামীম।

মেয়র শামীম বাংলাদেশ ২৪ অনলাইনকে জানান, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পৌরবাসীর সহায়তা দরকার। তাদের সহযোগিতায় এ পৌরসভাকে ‘খ’ শ্রেণী থেকে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। দেশের মধ্যে একটি মডেল, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশ বান্ধব শহর গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তিনি।

এমকে

 

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর