ফরহাদ খান, নড়াইল:
ঘটনার ৫ মাস পর উন্মোচন হলো গৃহবধূ রেহানা বেগমের মৃত্যুর রহস্য। এতোদিন স্বামীর পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মহত্যার কথা বলা হলেও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বলছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর হত্যা মামলায় পরিবর্তিত হয়েছে আগে করা অপমৃত্যু মামলাটি। সেই মামলায় স্বামীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি নড়াইলের নড়াগাতী থানার।
রেহানা বেগম নড়াগাতী থানার টোনা গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩৯) এর স্ত্রী ও খুলনার দিঘলিয়া থানার সোনাকুড় গ্রামের হেমায়েত মীরের মেয়ে। তাদের খাদিজা নামে ১০ মাসের কন্যা সন্তান রয়েছে।
গ্রেফতার বাকি দু’জন হচ্ছে- নজরুল ইসলামের দুই ভাই নাইমুল ইসলাম (৩৫) ও নূর আলম (৩২)। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পায় পুলিশ। বুধবার নজরুল ইসলামসহ তার ভাই-ভাইয়ের বৌ ও বোন মিলে মোট ৫ জনের নামে মামলাটি করেন রেহানার ভাই আল আমিন মীর । বাকি ২ আসামি হচ্ছে- বোন নূরজাহান (৩৮) এবং নাইমুলের স্ত্রী তহমিনা খাতুন।
আল আমিন মীর জানান, ২০১৮ সালের ১ আগস্ট নজরুল ইসলামের সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। এরপর যৌতুকের দাবিতে রেহানাকে প্রায়ই মারধর করতেন স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গত ১ জুলাই সকালে তাকে মোবাইল ফোনে নির্যাতনের কথা জানান রেহানা। এরপর রেহানা আত্মহত্যা করেছে- এ কথা তাকে জানায় রেহানার স্বামী। সন্দেহ হওয়ায় লাশ ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে পুলিশ।
নড়াগাতী থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) রোকসানা খাতুন জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে রেহানার ভাই বাদী হয়ে পাঁচজনের নামে হত্যা মামলা করেছেন। এরপর তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এমকে