নড়াইলে সাংবাদিকসহ ২ বীর মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত

১০ ডিসেম্বর ২০২১

ফরহাদ খান, নড়াইল:
নড়াইল হানাদারমুক্ত দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে ২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ- জেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা তাদের লাঞ্ছিত করেন। এদিকে এ ঘটনা নিয়ে সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকরা পৃথকভাবে জরুরি সভা করেছে। সভায় ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

নড়াইল জেলা পরিষদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু জানান, অনুষ্ঠান শেষে খাবার প্যাকেট বিতরণ চলছিল। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমাণ্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এসএ মতিন খাবারের প্যাকেট আনতে গেলে হঠাৎ করেই ডিসি অফিসের সহকারী নাজির বাবর আলী তার ওপর ক্ষেপে ওঠেন। এতে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন মতিন। এক পর্যায়ে বাবরসহ ডিসি অফিসের কয়েকজন কর্মচারী মতিনকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। তখন আমি এগিয়ে গেলে বাবর আলীসহ তার অনুসারীরা পুনরায় আমাদের দিকে তেড়ে আসে। পাশাপাশি অশালীন কথাবার্তাও বলেন তারা। তাদের নিবৃত্ত করতে তারা ব্যর্থ হন ঘটনাস্থলে থাকা নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফখরুল হাসানসহ কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট। ঘটনার সময় সেখানে ৩-৪ জন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।


এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছিত করার সময় দায়িত্ব পালনরত স্থানীয় সাংবাদিক আবদুস সাত্তারের ওপরও চড়াও হয় অভিযুক্তরা। সাত্তারের কাছে থেকে তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা। প্রায় দুই ঘন্টা পর মোবাইল ফোনটি ফেরত দিলেও ঘটনাস্থলের ভিডিওসহ পেশাগত কাজে ব্যবহৃত এবং ব্যক্তিগত সব তথ্যাদি মুছে দেয় অভিযুক্তরা।

ভূক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এ মতিন বলেন, ডিসি অফিসের কর্মচারী বাবর আলী চেয়ার দিয়ে আমাকে মারতে উদ্বত হয়। এজন্য কী দেশ স্বাধীন করেছিলাম আমরা? নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, আমি বাইরে ছিলাম, নড়াইলে এসেছি। আলোচনার মাধ্যমে সন্তোষজনক সমাধান হবে।

 

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর