র্যাবের সাবেক ও বর্তমান মিলে ৬ কর্মকর্তার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘটনায় নিজেদের কথার সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে বলেই মনে করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, আমরা এতদিন ধরে বলে আসছি- বর্তমান সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে, পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করছে, মানবাধিকারকে হরণ করা হচ্ছে। আজকে এটা প্রমাণিত হয়েছে।
শনিবার রাজধানী ঢাকায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, বিদেশে চিকিৎসার দাবি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা শীর্ষক সভাটির আয়োজন করে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)।
অভিব্যক্তি প্রকাশকালে তিনি জানান, তরুণ নেতারা নিষেধাজ্ঞা জারির এ ঘটনাকে চমক হিসেবে দেখলেও তিনি দেখছেন না। তার কাছে মনে হয়েছে, এটা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। এটাই তাদের পরিণতি, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে;মানুষের অধিকারকে কেড়ে নেয় ও জনগণকে হত্যা করে। তাদেরকে এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। তিনি জানান, আমরা দেখতে ও জানতে চাই- সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে? নিষেধাজ্ঞাটিকে লজ্জার বিষয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়েও কথা বলেন ফখরুল।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ। প্রসঙ্গত, মানবাধিকার লঙ্ঘন করার কারণ দেখিয়ে নিষেধাজ্ঞাটি জারি করা হয়েছে।
এমকে