ভারত টপকে করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রন এবার শনাক্ত হয়েছে বাংলাদেশেও। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত এ ধরণ দেশে কতটা ছড়ানোর সুযোগ পাবে, তাণ্ডব চালাবে তা নিয়ে এক ধরণের শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে শনাক্তের এ খবরে। কারণ সব ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো প্রবণতা বা আগ্রহ নেই, বিশেষত গ্রামাঞ্চলে। যদিও আফ্রিকায় শনাক্তের পরপরেই ওমিক্রণকে এ দেশে ঢুকতে না দেয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানানো হয় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে। আগাম প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থা হিসেবে দেয়া হয় ১৫ ধরণের নির্দেশনা। কিন্তু সে নির্দেশনা কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে, সে প্রশ্ন রয়েই গেছে। ওয়াকিবহাল মনে করছেন, ওমিক্রনকে এখনই থামাতে না পারলে ডেল্টার মতো ভুগতে হতে পারে দেশকে।
শনিবার দেশে দু’জনের নমুনায় ওমিক্রন শনাক্তের খবর দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ, আক্রান্তরা নারী ক্রিকেট দলের সদস্য। জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে খেলা শেষে ১ ডিসেম্বর দেশে ফেরার পর নমুনা পরীক্ষায় তাদের শরীরে ওমিক্রন থাকার কথা জানা যায়। আপাতত তারা সুস্থ আর কোয়ারেন্টিনে আছে। এদিকে সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকাফেরত ২৪০ জনের কোনো হদিস পাচ্ছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদের মাধ্যমে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রন চার দশমিক দুইগুণ বেশি সংক্রামক। আক্রান্ত হওয়ার কারণে ও টিকা নেয়ার ফলে সৃষ্ট ইমিউনিটিকে ভেদ করতে পারে এ ধরণ। বুধবার জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্যানেলের এক বৈঠকে এ কথা জানান হিরোশি নিশিউরার। সংক্রামক রোগের গাণিতিক মডেলিংয়ে বিশেষজ্ঞ হিরোশি কিয়োটো ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত বিজ্ঞানের অধ্যাপক। দক্ষিণ আফ্রিকার গাউটেং প্রদেশ থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত পাওয়া জিনগত তথ্য পর্যালোচনায় ওমিক্রনের শক্তি সম্পর্কে এ তথ্য পেয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার এ খবর প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ব্ল–মবার্গ। গত ৭ ডিসেম্বর এক সেমিনারে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও বিশিষ্ট সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল বলেন, নতুন ধরনটি শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাও কমতে পারে। ওমিক্রন হয়তো ডেল্টার চেয়েও ভয়ানক হবে। সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দিতে হবে। এদিকে এনডিটিভি তাদের খবরে বলছে, দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, এখন দৈনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। অন্যদিকে ভারতে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২১ জনের নমুনায় ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৫৭টি দেশে এ ধরন শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ওমিক্রন শনাক্ত হওয়া দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে যাত্রী আসা বন্ধে সুপারিশ করেছে কভিড-১৯-বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তবে বতসোয়ানা, ইসোয়াতিনি, ঘানা, নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও লেসোথো মিলে ৭ দেশের রোগীদের কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ দেয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক (রোগ-নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘরের দরজায় করোনার বিপজ্জনক ধরণ ওমিক্রন কড়া নাড়ছে। সুরক্ষিত থাকতে এ মুহূর্তে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, মাস্ক পরতে হবে। ওমিক্রন প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়ার ১৫ নির্দেশনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে সবাইকে সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক ব্যবহারসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা। সব ধরণের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য জনসমাগম নিরুৎসাহিত করা, সব ধরণের জনসমাবেশ, পর্যটনস্থান, বিনোদন কেন্দ, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা হল বা থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়ে, বৌভাত, জন্ম দিন, পিকনিক পার্টি প্রভৃতি) ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কমসংখ্যক লোকের অংশগ্রহণ, মসজিদসহ সব উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা। রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার ক্ষেত্রে ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম রাখা।
ওমিক্রনে শঙ্কা
ভারত টপকে করোনার নতুন ধরণ এবার শনাক্ত হয়েছে বাংলাদেশেও। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত এ ধরণ দেশে কতটা ছড়ানোর সুযোগ পাবে, তাণ্ডব চালাবে তা নিয়ে এক ধরণের শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে শনাক্তের এ খবরে। কারণ সব ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো প্রবণতা বা আগ্রহ নেই, বিশেষত গ্রামাঞ্চলে। যদিও আফ্রিকায় শনাক্তের পরপরেই ওমিক্রণকে এ দেশে ঢুকতে না দেয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানানো হয় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে। আগাম প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থা হিসেবে দেয়া হয় ১৫ ধরণের নির্দেশনা। কিন্তু সে নির্দেশনা কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে, সে প্রশ্ন রয়েই গেছে। ওয়াকিবহাল মনে করছেন, ওমিক্রনকে এখনই থামাতে না পারলে ডেল্টার মতো ভুগতে হতে পারে দেশকে।
শনিবার দেশে দু’জনের নমুনায় ওমিক্রন শনাক্তের খবর দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ, আক্রান্তরা নারী ক্রিকেট দলের সদস্য। জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে খেলা শেষে ১ ডিসেম্বর দেশে ফেরার পর নমুনা পরীক্ষায় তাদের শরীরে ওমিক্রন থাকার কথা জানা যায়। আপাতত তারা সুস্থ আর কোয়ারেন্টিনে আছে। এদিকে সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকাফেরত ২৪০ জনের কোনো হদিস পাচ্ছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদের মাধ্যমে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রন চার দশমিক দুইগুণ বেশি সংক্রামক। আক্রান্ত হওয়ার কারণে ও টিকা নেয়ার ফলে সৃষ্ট ইমিউনিটিকে ভেদ করতে পারে এ ধরণ। বুধবার জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্যানেলের এক বৈঠকে এ কথা জানান হিরোশি নিশিউরার। সংক্রামক রোগের গাণিতিক মডেলিংয়ে বিশেষজ্ঞ হিরোশি কিয়োটো ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত বিজ্ঞানের অধ্যাপক। দক্ষিণ আফ্রিকার গাউটেং প্রদেশ থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত পাওয়া জিনগত তথ্য পর্যালোচনায় ওমিক্রনের শক্তি সম্পর্কে এ তথ্য পেয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার এ খবর প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ব্ল–মবার্গ। গত ৭ ডিসেম্বর এক সেমিনারে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও বিশিষ্ট সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল বলেন, নতুন ধরনটি শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাও কমতে পারে। ওমিক্রন হয়তো ডেল্টার চেয়েও ভয়ানক হবে। সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দিতে হবে। এদিকে এনডিটিভি তাদের খবরে বলছে, দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, এখন দৈনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। অন্যদিকে ভারতে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২১ জনের নমুনায় ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৫৭টি দেশে এ ধরন শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ওমিক্রন শনাক্ত হওয়া দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে যাত্রী আসা বন্ধে সুপারিশ করেছে কভিড-১৯-বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তবে বতসোয়ানা, ইসোয়াতিনি, ঘানা, নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও লেসোথো মিলে ৭ দেশের রোগীদের কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ দেয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক (রোগ-নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘরের দরজায় করোনার বিপজ্জনক ধরণ ওমিক্রন কড়া নাড়ছে। সুরক্ষিত থাকতে এ মুহূর্তে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, মাস্ক পরতে হবে। ওমিক্রন প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়ার ১৫ নির্দেশনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে সবাইকে সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক ব্যবহারসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা। সব ধরণের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য জনসমাগম নিরুৎসাহিত করা, সব ধরণের জনসমাবেশ, পর্যটনস্থান, বিনোদন কেন্দ, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা হল বা থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়ে, বৌভাত, জন্ম দিন, পিকনিক পার্টি প্রভৃতি) ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কমসংখ্যক লোকের অংশগ্রহণ, মসজিদসহ সব উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা। রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার ক্ষেত্রে ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম রাখা।
এমকে