নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শুরু হচ্ছে সোমবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে। প্রথমদিনের সংলাপে অংশ নিতে বঙ্গভবনে যাবে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। পর্যায়ক্রমে নিবন্ধিত সব দলই এ সংলাপে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ পাবে। যদিও বিএনপি এ সংলাপে যাচ্ছে না বলে জানা গেছে। একটি গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন দলটির দায়িত্বশীল নেতারা।
কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। পরদিনই নতুন ইসি দায়িত্ব গ্রহণ করবে। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন প্রণয়ন না হওয়ায় ২০১১ সাল থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে কমিশনার নিয়োগ করছেন রাষ্ট্রপতি। রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কমিশনার হওয়ার মতো ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবেন এ কমিটি। প্রস্তাব দেয়া নাম থেকে একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ৪ জনকে কমিশনার নিয়োগ দিয়ে নতুন ইসি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। প্রধান নির্বাচন কমিশনসহ বাকি ৪ কমিশনার হিসেবে দুই জনের নাম প্রস্তাব করেন সার্চ কমিটি। ২০ জানুয়ারির মধ্যেই এ সার্চ কমিটি গঠন হবে।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সংলাপে অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি দলের সদস্যদের করোনা নেগিটিভ সনদ থাকতে হবে। প্রথমদিন বিকাল ৪টায় এ সংলাপ শুর হবে। বুধবার এ সংলাপ হবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)- এর সঙ্গে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দল বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ, মোজাফফর) সঙ্গে সংলাপ হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর।
জানা গেছে, জাতীয় পার্টির আট সদস্যের সংলাপ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। ইসি গঠনের প্রস্তাবনার একটি খসড়া দলটি ঠিক করেছে। এদিকে জাসদের সাত সদস্যের সংলাপ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি। তাদের প্রস্তাবে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের গুরুত্ব দেয়া হবে।
ইসি পুনর্গঠন নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এবার এ সংলাপ হচ্ছে। প্রথমবার হয় ২০১১ সালের ২২ ডিসেম্বর, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমানের সঙ্গে। আর দ্বিতীয়বার হয় ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে। এ দুবারই সার্চ কমিটি গঠন করা হয় সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে, কমিটির প্রধান ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। সার্চ কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব।
এমকে