সাবেক স্বামীর ইস্যু এখানেই শেষ করার অনুরোধ ফারিয়ার

২১ ডিসেম্বর ২০২১

ফের আলোচনায় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। পারিবারিক সহিংসতা নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমেই তিনি মূলত আলোচনায় আসেন। পোস্টটির অভিযোগের তীর যায় তার সাবেক স্বামী অপুর দিকে। পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেন তিনিও। আমার কোনো বিষয়ে দয়া করে ওই ভদ্রলোককে টানবেন না- সর্বশেষ আরেকটি পোস্টে সাংবাদিকদের এমন অনুরোধও  জানিয়েছেন ফারিয়া। ফারিয়া লেখেন, সেই পোস্টে কোনোভাবেই কোনো ব্যক্তিকে নিয়ে অভিযোগ করিনি। সম্পূর্ণ অভিযোগ ছিল সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির দিকে! এতদিন পর এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলা আমার জন্য বিব্রতকর। কিন্তু এত সংবাদকর্মী ভাইয়েরা কল দিয়েছেন, ফোন কী বন্ধ করে রাখবো? তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও কিছু কথা বলতে হচ্ছে।

 

তিনি লেখেন, আমি বিবাহ বিচ্ছেদের পরে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আমার জীবনে যিনি ছিলেন তাকে সম্মান দেখাতে। যদিও ওনার প্রতি আমার অভিযোগ রাগ ক্ষোভ কোনোটারই অভাব নেই। আমি শিওর ওনারও একই অনুভূতি! আমার বিশ্বাস তবুও উনি সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতেই চেষ্টা করেছেন! সত্যি বলতে রাগারাগির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয় আমাদের, তারপর আমার আঙ্গুল ভেঙে যায়। তাহলে এখন উনি অস্বীকার কেন করছেন?  হঠাৎ এমন পাবলিক প্রতিক্রিয়া হলে আপনি কী করবেন? আপনিও ডিনাই করবেন! বিষয়টা এখানেই শেষ করতে চান জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, নিউজে আমার নামের সঙ্গে যার নাম বারবার আসছে তিনি বিষয়টা অস্বীকার করছেন আর এত বছর পর যেহেতু কথা উঠছে তখন বিষয়টা প্রমাণ করা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। কিন্তু হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ কিংবা বিল কার কার্ড থেকে পরিশোধ হয়েছে সেগুলো বের করার সুযোগ এখনো আছে। কিন্তু যেহেতু সেই ব্যক্তির মা কল করলে আমি তাকে এখনো মা ছাড়া অন্য কিছু ডাকতে পারি না, তাই মা এবং আমার নিজের সম্মান রক্ষার্থে বিষয়টা এখানেই শেষ করতে চাই। ফারিয়া আরও বলেন, পুরনো বিষয় ঘেঁটে কিছু পাবো না আমরা দু’জন। এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছা থাকলে বিচ্ছেদের সময়ই আমি এতো প্রেম না দেখিয়ে এসবই বলতাম। হয়তো তখন আমি যেসব সমালোচনা হজম করেছি তা করতে হতো না। লাভটা আমারই হতো।

 

নিজেদের ওপর সকলকে সহনশীল হবার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অথচ এখান থেকে শিক্ষণীয় হতে পারতো, আমাদের মতো যেন কেউ জীবনের মূল্যবান সময় এভাবে নষ্ট না করে। এবার আশা করি সবাই সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। যেহেতু শুরুটা আমাকে দিয়ে শেষটাও আমি টানতে চাই। সবার দোয়া চাই। আমাদের প্রতি একটু সহনশীল হোন।


মন্তব্য
জেলার খবর