বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবার ‘মুক্তিযোদ্ধা’ পরিচয়পত্র দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আগামী ২৬ মার্চের (স্বাধীনতা দিবস) মধ্যে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাই এটা পাবেন। এতে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক নিরাপত্তা সংবলিত ব্যবস্থা থাকবে। এজন্য দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। মহান বিজয় দিবসের এক আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের দেয়া বক্তব্যে এসব জানা গেছে। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিতে এ সভা হয়, আয়োজন করে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী কল্যাণ সমিতি।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নেয়া বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, তাদের ভাতা বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে, দেশের যে কোনও বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন তারা। তাদের সম্মানজনক জীবনযাপনের জন্য সব ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বসতঘর দেয়া হবে। এজন্য ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিটি জেলা ও ৪০১টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে। সব জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে শহীদ ও মারা যাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর একই নকশায় সাজানো হচ্ছে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কাজী রিয়াজুল হক, মহাসচিব আবু আলম মো. শহিদ খানসহ সংগঠনের বীর মুক্তিযোদ্ধা নেতারা।
এমকে