জৈব পদার্থের সঙ্কট প্রায় ৭৯ শতাংশ জমিতে

২৩ ডিসেম্বর ২০২১

৫ শতাংশের জায়গায় পাওয়া গেছে ২ শতাংশ, এ রকম দেশের ৭৮ দশমিক ৯০ শতাংশ জমিতে জৈব পদার্থের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হওয়ার সঙ্গে কমছে ফসল উৎপাদন। কারণ মাটির প্রাণই হলো জৈব পদার্থ। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসআরডিআই) ল্যান্ড ডিগ্রেডেশন ইন বাংলাদেশ’-শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। মাটির উর্বরতা শক্তি ও জৈব পদার্থের উপস্থিতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনটিতে এর পেছনে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারসহ ৯ কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। দেশের মোট আয়তনের ৫৬ শতাংশ জায়গায় ফসল আবাদ হয়। ৫ শতাংশ জৈব পদার্থ বিদ্যমান  মাটিকে সবচেয়ে ভালো বলা হয়।

বাকি কারণ হিসেবে মাটির যথেচ্ছা ব্যবহার, অপরিকল্পিত চাষাবাদ, ক্রমবর্ধমান নগরায়ন, শিল্পায়ন, দূষণ ও ব্যাপক হারে বনভূমি ধ্বংস করার কথা বলা হয়েছে। জানানো হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, ইটভাটায় ব্যবহারের জন্য জমির ‘টপ সয়েল’ বিক্রি ও মাটির টেকসই ব্যবস্থাপনার অভাবে মৃত্তিকায় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আর মাটির স্বাস্থ্যহীনতা ফসল উৎপাদনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কৃষিজমি থেকেই আসছে শিল্পের কাঁচামাল, জনসংখ্যা ও উন্নয়নের ক্রমবর্ধমান চাপও সইতে হয় মাটিকেই।

আবাদি, বনভূমি, নদী, লেক, সংরক্ষিত বনাঞ্চল, সুন্দরবনসহ ১ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর জমি আছে দেশে। এর মধ্যে ১ কোটি ১৬ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে জৈব পদার্থের ঘাটতি রয়েছে, শতাংশের হিসাবে ৭৮ দশমিক ৯০।

মৃত্তিকা বিশ্লেষকরা বলছেন, মাটির সব ধরনের জৈব পদার্থ থাকে জমির উপরিভাগে। তাই ‍এ মাটি যেন কোনোভাবে নিচে পড়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেই সঙ্গে অপরিকল্পিত রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ও কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। আর সার ও কীটনাশকও ব্যবহার  করতে হবে  কৃষি কর্মকর্তাদের কাছে থেকে পরামর্শ নিয়ে।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর