অলিম্পিক গেমসে ক্রিকেট ফেরাতে মরিয়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক সামনে রেখে ৩ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ২৬ কোটি টাকা) একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সংস্থাটি। যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটে প্রচারণা এবং মার্কেটিংয়ের জন্য এই অর্থ খরচ করা হবে। ১৯০০ সালের পর অলিম্পিকে আর ক্রিকেট দেখা যায়নি। গত আগস্টে ২০২৮ অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করে আইসিসি। এ ব্যাপারে আইসিসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে ক্রিকেটের সবচেয়ে ধনী বোর্ড ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। মূলত এই উদ্দেশ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে আইসিসি। কিন্তু গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকে (আইওসি) ২৮টি খেলার একটি তালিকা দেয় লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের কার্যনির্বাহী বোর্ড।
সেখানে স্কেটবোর্ডিং, স্পোর্টস ক্লাইম্বিংয়ের মতো খেলা থাকলেও নেই ক্রিকেটের নাম। আইসিসি তাই ‘অতিরিক্ত খেলা’ হিসেবে ক্রিকেটকে অলিম্পিকের অংশ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্কেট বোর্ডিং, সার্ফিং এবং স্পোর্ট ক্লাইম্বিং মতো অপ্রচলিত খেলাগুলোও রয়েছে ক্রিকেটের সঙ্গে। এরই মধ্যে অতিরিক্ত খেলা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় বেসবল, সফটবল ও আমেরিকান ফুটবলকে অর্ন্তভুক্তকরণের কাজ এগিয়েছে। তবে চূড়ান্ত বাছাই হবে ২০২৩ সালে। আইসিসির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা জানি ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তিকরণ সহজ হবে না। কারণ অন্য খেলাগুলোও অলিম্পিকে জায়গা পেতে চায়।’
আইসিসি তাই সময় নষ্ট না করে এখনই মাঠে নেমে পড়ছে। সাবেক ক্রিকেটাদের দিয়ে বিভিন্ন প্রচারণাসহ বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের আয়োজন করবে সংস্থাটি। যাতে করে অলিম্পিক স্টেকহোল্ডারদের তারা বুঝাতে সক্ষম হয় ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা ও বাজার রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
আরআই