গত এক দশকে আর্থসামাজিক সূচকে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, বাংলাদেশ সম্ভাবনা ও সমৃদ্ধি নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এখন লক্ষ্য হচ্ছে ২০৩১ সালের মধ্যে এসডিজির সব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশ ও একটি সমৃদ্ধ এবং স্থিতিস্থাপক ডেল্টায় পরিণত করা। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) মালদ্বীপের জাতীয় সংসদে দেয়া নিজের ভাষণে বিষয়টি তুলে ধরেন।
ভাষণে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যকার উষ্ণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুসংহত, দুই দেশের আগামী ৫০ বছরের যাত্রা আরও ফলপ্রসূ এবং জনগণের জীবনে অর্থবহ পরিবর্তন আনবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের কোনও দেশই বিচ্ছিন্নভাবে উন্নতি করতে পারে না। করোনা সবাইকে শিখিয়েছে- পরস্পর নির্ভরশীল এবং একটি উন্নত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বিশ্বের স্বার্থে নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে হবে।
আর্থসামাজিক সূচক বলতে বিশেষত নারীর ক্ষমতায়ন, মাতৃ এবং শিশুর স্বাস্থ্য, আয়ুষ্কাল, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার, স্যানিটেশন, পানীয় জল, প্রাথমিক শিক্ষা এবং সাক্ষরতার কথা স্পষ্ট করেই উল্লেখ করেছেন সরকার প্রধান। অর্থনীতি পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এবং বিশ্বের ৩৪টি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। মহামারির ঠিক আগে জিডিপি বৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ।
ভাষণে শেখ হাসিনা বলেন, মালদ্বীপের উন্নয়নের যাত্রা, এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ আমাদের বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছে। আশা করি, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ পরিপূরকতাগুলো কাজে লাগাবে। এলডিসি হিসেবে পাওয়া সুবিধা প্রত্যাহারের পরে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফোকাস হবে অর্থনীতির বৈচিত্র্যকরণ এবং নতুন বাজার অনুসন্ধান। ভাষণে মুজিব জন্মশতবর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ায় মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
ভাষণ দেয়ার আগে দেশটির জাতীয় সংসদ ‘পিপলস মজলিস’-এ পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ এবং ডেপুটি স্পিকার। সূত্র: বাসস
এমকে