ইঞ্জিন বিস্ফোরণে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড, বিস্ফোরণ কীভাবে হলো?

২৪ ডিসেম্বর ২০২১

সুগন্ধা নদীর ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় দেউরী পয়েন্টে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দগ্ধদের মধ্যে ৮৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইঞ্জিন রুম থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন লঞ্চটির প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা। ফায়ারসার্ভিসসহ সংশ্লিষ্টদের ধারণা ইঞ্জিন বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত হয়। কিন্তু বিস্ফোরণ কিভাবে হলো- এখন সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেস্টা করছেন তারা। এমভি অভিযান-১০ নামের এ লঞ্চ  বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে রাত  তিনটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই লঞ্চটির একজন স্টাফকেও পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে দগ্ধদের চিকিৎসা নিশ্চিত ও নিহতদের স্বজনদের কাছে লাশ দ্রুত হস্তান্তরে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একাধিক যাত্রী ও তাদের স্বজনরা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইঞ্জিন রুম থেকে আগুন বের হয়ে ওপরে চলে আসা মাত্র ভয়াবহ রূপ নেয়। আগুনের সঙ্গে অনেক ধোঁয়া থাকায় কোনও কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। প্রাণ রক্ষায় অনেকেই নদীতে লাফ দেন। ইঞ্জিন রুমের পাশে থাকা খাবারের হোটেলে বড় বড় গ্যাস সিলিন্ডার ছিল, চায়ের দোকানেও ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। এসব সিলিণ্ডার বিস্ফোরিত হলে আগুন দ্রুত  ছড়ায়।সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নিচতলার ডেকের যাত্রীরা।

একাধিক যাত্রীর বরাত দিয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ইঞ্জিন বিস্ফোরিত হলে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কী কারণে ইঞ্জিন বিস্ফোরণ হলো- খতিয়ে না দেখে বলা সম্ভব নয়। এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। কোস্টগার্ডের বরিশাল অঞ্চলের স্টেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ অনাবিলও জানিয়েছেন, ইঞ্জিন কেন বিস্ফোরণ হলো, সেটা তাদেরও প্রশ্ন। আর এ প্রশ্নের উত্তরের পেতে হলে সময় দিতে হবে তাদের।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর