বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। এ অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণয়নের কোনও সুযোগ নেই। সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠনের আইনি ভিত্তি আছে। সার্চ কমিটিতে রাজনৈতিক দলের বা সরকারি দলের কেউ নেই। তাই এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ক্র্যাবের বার্ষিক সাধারণ সভায় এমনটাই জানালেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ইসি গঠনে আইন করার ব্যাপারে আমিও একমত। কিন্তু করোনাকালীন বসা সংসদে সব সংসদ সদস্যকে ডাকি হয়নি। আমাকে বলা হয়েছিল, নির্বাচন কমিশন সিলেকশনের ব্যাপারে একটি অর্ডিন্যান্স করে দিতে। কিন্তু সংসদকে পাশ কাটিয়ে সংবিধান অনুযায়ী আইন করতে রাজি হইনি।
সংবিধানের কথা তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে- নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি, আইন করার কথাও বলা আছে। কিন্তু এর আগে দু’বার ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংলাপ হয়। সংলাপে ইসি গঠনে সার্চ কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়। সার্চ কমিটিতে ছয়জন থাকেন- আপিল বিভাগের একজন সিনিয়র জাস্টিস, হাইকোর্ট বিভাগের একজন জাস্টিস, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল। তারা সবাই সাংবিধানিক পদের অধিকারী, বাকি দু’জন সিভিল সোসাইটির। তারা ১০ জনকে সিলেক্ট করে রাষ্ট্রপতির কাছে নাম পাঠাবে। সবার নাম দেওয়ার ক্ষমতা আছে, অধিকার আছে। এ নাম থেকে রাষ্ট্রপতি একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার জনকে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ দিবেন। তাই এ নিয়ে বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই।
এমকে