দেশে করোনা প্রতিরোধে নতুন বছরের শুরুতেই গণটিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানুয়ারি মাস ধরেই চলবে এ কর্মসূচি, টার্গেট নেওয়া হয়েছে ৩ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) কোভিড-১৯ টিকাদান বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। আগামীকাল শুক্রবার (১ জানুয়ারি) শুরু হচ্ছে নতুন বছর। বিদায় নিতে যাওয়া চলতি বছরে দুই ধাপে গণটিকা দেওয়া হয়।
শামসুল হকের ভাষ্যানুযায়ী, পহেলা জানুয়ারি থেকে বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এ টিকা দেওয়া হবে। গ্রাম ও ওয়ার্ড পর্যায়ে এ কর্মসূচি চলবে। ইপিআই (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) কেন্দ্রগুলোতে এ টিকা দেওয়া হবে।
এদিকে দেশে আবার বাড়তে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ের পর ৩০ ডিসেম্বর করোনা রোগী ৫শতাধিক শনাক্ত হওয়ার খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অন্যদিকে যারা এখনো টিকা নেননি, তাদেরকে এখনি টিকা নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের নতুন শিক্ষাবর্ষের বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ আহবান জানান।
প্রসঙ্গত, এর আগে প্রথম গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ৭ আগস্ট। ছয় দিনে প্রথম ডোজ দেওয়া হয় ৫০ লাখ ৭১ হাজার মানুষকে। এক মাস পর ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয় দ্বিতীয় ডোজ। ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় ও ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার বাইরে চলে চলে এ কর্মসূচি। নিয়মিত ও গণটিকাদান কর্মসূচির তথ্য আলাদাভাবে না আসায় ঠিক কতজন টিকা পেয়েছেন, জানায়নি কর্তৃপক্ষ। দ্বিতীয় দফায় গণটিকা দেওয়া হয় ২৮ সেপ্টেম্বর- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে। এদিনে ৬৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯২২ ডোজ টিকা দেওয়া হয় মানুষকে।
এমকে