বিশ্বের অন্যান্য দেশে করোনার নতুন ধরণ ‘ওমিক্রন’- এর সংক্রমণ আশঙ্কজনক হারে বাড়ছে। বাংলাদেশে এ ধরণের গুচ্ছ সংক্রমণ হয়েছে। এর মধ্যে আবারও হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শনাক্ত বেড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ। শুধু শনাক্তই নয়, অনেক বেশি বেড়েছে করোনা রোগীর মৃত্যুর সংখ্যাও। এ হারের কথা জানিয়েছে খোদ স্বাস্থ্য অধিদফতর।
রোববার (২ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন তাদের অনলাইন বুলেটিনে দেশের ও বিশ্ব করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৬ ডিসেম্বরও দেশে শনাক্তের হার ছিল দুইয়ের নিচে। এরপর এ হার আর দুইয়ের নিচে নামেনি। ৩১ ডিসেম্বর শনাক্তের হার চলে আসে দুই দশমিক ৭৪। এক মাসের মধ্যে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনেকক্ষেত্রে এক শতাংশের কাছাকাছিও ছিল এ হার। এরপর থেকেই সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করেছে। গত সাত দিনে করোনা শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৯২৪ জনের, মারা গেছেন ২০ জন করোনা রোগী। নভেম্বর মাসে শনাক্ত হয় ছয় হাজার ৭৪৫ জন, ডিসেম্বরে শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ২৫৫ জন। দেশে মারা যাওয়া করোনা রোগীদের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ্বদের সংখ্যাই বেশি, প্রায় ৭০ ভাগের কাছাকাছি।
বিশ্ব করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে বুলেটিনে জানানো হয়, বেশ নাজুক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। একদিনে প্রায় ১৯ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এমন পরিস্থিতি এর আগে দেখা যায়নি। এরকমটাও দেখা যায়নি, যেটা দুই থেকে তিন দিন আগে দেখা গেছে। ওমিক্রনের কারণেই এমন অবস্থা বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এমকে