দেশের নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বলেছেন, সর্বোচ্চ ভালোটা দেওয়ার চেষ্টা থাকবে তার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এদিন বিকালে দায়িত্ব পালনের জন্য শপথ গ্রহণ শেষে প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি।
সিইসি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের অংশীদারিত্বপূর্ণ নির্বাচন করাই তার কমিশনের মূল উদ্দেশ্য। প্রতিটি নির্বাচনই একটি চ্যালেঞ্জ। শুধু ইসি চাইলেই হবে না, সুষ্ঠু নির্বাচনে সবার সহযোগিতা লাগবে। দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা ও দোয়া চেয়েছেন সিইসি। সব কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে সোমবার(২৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তার নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশন শপথ গ্রহণ করে। আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) থেকেই এ কমিশন দায়িত্ব পালন করবেন। তার আগে রাজধানী ঢাকায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সকালে তাদের বরণ করে নেওয়া হবে। পরে করণীয় ঠিক করতে প্রথম বৈঠকে বসবেন তারা।
নতুন নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার চারজন হলেন— বেগম রাশিদা সুলতানা, আহসান হাবীব খান, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তাদের নিয়োগের বিষয়ে আলাদা দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাদের নিয়োগ দিয়েছেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত আইন পাসের পর প্রথম কমিশন তারা। নির্বাচন কমিশন শপথ নেওয়ার পর যেদিন দায়িত্ব পালন শুরু করেন, সেদিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর হবে তাদের দায়িত্বকাল।
এমকে