রাজপথে আন্দোলনে বাধা দিলে বিএনপি বিকল্প পথ খুঁজতে বাধ্য হবে।সেই বিকল্প পথে গেলে দেশটার কী অবস্থা হবে- এটা সবাইকে ভাবতে হবে। আন্দোলনের মধ্যে অস্ত্র ও পোশাকের ভয় দেখিয়ে কখনই সত্য আড়াল করা যাবে না। এমনটাই বলেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শনিবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এই কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নিরাপত্তা শুধু আমাদের প্রয়োজন না, নিরাপত্তা সবারই প্রয়োজন। এই দেশের নিরস্ত্র জনগণ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে কাবু করেছে, এদেশে তাদেরকে পরাজিত করে তাদের দেশের মাটিতে ফেরত পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রবিহীন রাষ্ট্রে স্বৈরতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য প্রশাসন ও পুলিশ জনগণের সেবা বাদ দিয়ে লাঠিচার্জ করছে। এমনটা চলতে থাকলে জনগণ লাঠি কেড়ে নিতে বাধ্য হবে। জনগণের গণতন্ত্র জনগণই ফিরিয়ে আনবে। এখানে মন্ত্র-তন্ত্র কাজে লাগবে না।
কারাগারে বন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু ও নোয়াখালীর বশিরহাটে ক্ষমতাসীন দলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে স্থানীয় সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মোজাক্কির হত্যার বিচারের দাবিতে এই সমাবেশ হয়। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন- বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সারোয়ার, ইয়াসীন আলী, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, আনু মো. শামীম, নেসারউদ্দিন, এটিএম আবুল কালাম আজাদ, জামাল হোসেন তালুকদার, আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, রফিক হাওলাদার প্রমুখ।
এমকে