জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনসহ পুরো উপকূলীয় অঞ্চল দুর্যোগের ঝুঁকিতে আছে। এ ঝুঁকি মোকাবিলা ও সুন্দরবনসহ উপকূলের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট ও টেকসই কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় জনগণের দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো উচিত।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) ‘সুন্দরবন উপকূলে দুর্যোগের ঝুঁকি ও করণীয় শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে এ কথা বলেন পরিবেশ ও নাগিরক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা। বক্তারা বলেন, সুন্দরবন উপকূলকে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে ৩০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। বাঁধের উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ ও বাঁধের দু’পাশে বনায়ন করতে হবে। বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জরুরি তহবিল গঠন ও বাঁধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করতে হবে। ওয়াপদা বাঁধের ১০০ মিটারের মধ্যে চিংড়ি বা কাঁকড়ার ঘের তৈরিতে সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা দ্রুত কার্যকর করতে হবে। উপকূলীয় জনগণের জন্য নিরাপদ খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সর্বোপরি উপকূলের উন্নয়নে পৃথক বোর্ড গঠন করতে হবে।
বক্তব্য দেন- খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, শ্যামনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাঈদুজ্জামান সাঈদ, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, বেসরকারি সংস্থা ফেইথ ইন অ্যাকশনের নৃপেন বৈদ্য,কেএনএইচ-জার্মানির ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর মালিনদা টিনা বৈদ্য ও কর্মসূচি সমন্বয়কারী মনিরুজ্জামান মুকুল, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল, লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল, সচেতন সংস্থার সাকিলা পারভীন, খুলনার সাংবাদিক শেখ আল-এহসান, পরিবেশ সুক্ষায় উপকূলীয় জোট খুলনার সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন বিপ্লব, জেলা পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা অরুণ কুমার শীল,অধ্যাপক জিএম আমিনুল ইসলাম, পাইকগাছার স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল আজিজ ও দুর্যোগ’র কয়রা অঞ্চলের প্রতিনিধি বৃষ্টি আক্তার প্রমুখ।
এমআই