করোনাকালেও  বেড়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন

২৯ ডিসেম্বর ২০২০

করোনাকালেও নারী ও শিশু নির্যাতনের মাত্রা প্রতি মাসে ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েছে। চলতি বছররের জানুয়ারি থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে এ সংক্রান্ত  মামলার সংখ্যা আনুমানিক ১৮ হাজার ২২১টি। ‘নারী ও শিশু নির্যাতনের বর্তমান প্রেক্ষাপট ২০২০: বিশ্লেষণ ও করণীয়  শীর্ষক  সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ সম্মেলন হয়।

বিষয়টি উদ্বেগের উল্লেখ করে সংগঠনটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ ধরণের  সহিংসতার রূপ পরিবর্তিত হচ্ছে। এ সহিংসতা রোধে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ১১টি সুপারিশ উত্থাপন করা হয়। এগুলো হচ্ছে—  ধর্ষণের মুখোমুখি নারী ও শিশুদের জন্য সার্বিক আইনি সহযোগিতার ব্যবস্থা কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করা। দ্রুত বিচার এবং সাক্ষী সুরক্ষার পাশাপাশি আধুনিক ফরেনসিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলাগুলোর যথাযথ তদন্ত নিশ্চিত করা। তদন্ত কাজ রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত রাখা এবং আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সব স্তরে প্রশিক্ষিত কর্মী থাকা। উচ্চ আদালতে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত সব মামলা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্রত বিচার সম্পন্নের জন্য পৃথক কোর্টের ব্যবস্থা করা। মানবপাচার সংক্রান্ত মামলা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্রুত বিচার সম্পন্নের জন্য ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ানো। প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের সামগ্রিক তথ্য ও উপাত্ত সংরক্ষণের জন্য যথাযথ মনিটরিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। প্রান্তিক গোষ্ঠীর (প্রতিবন্ধী, হিজড়া) জন্য বৈষম্যহীন আইনি পরিষেবা নিশ্চিত করা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, শ্রম পরিদর্শকরা এবং অভিবাসন কর্মকর্তাসহ কর্মকর্তাদেরকে পাচারের মামলার শনাক্তকরণ এবং পরিষেবাগুলোতে প্রশিক্ষণ বাড়ানো।  কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকরী কমিটি গঠন করা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত - ২০২০ সব ধরনের ধর্ষণকে আইনের আওতাভুক্ত করার জন্য পেনিট্রেশনের একটি সংজ্ঞা যুক্ত করা এবং সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারা এবং এ সংক্রান্ত অন্যান্য ধারা সংশোধনের মাধ্যমে ধর্ষণ মামলার বিচারে অভিযোগকারীর চরিত্রগত সাক্ষ্যের গ্রাহ্যতা বন্ধ করা।

এমআই


মন্তব্য
জেলার খবর