সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে  করোনার টিকা দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের ১৩ কোটি ৭৬ লাখ মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনা হবে। আর বিশেষ কারণ ছাড়া ১৮ বছরের নিচে কাউকে টিকার আওতায় আনা হবে না। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য  আবুল কামাল আজাদ।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)’র বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি।সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা মানুষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মজীবী, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী, জনপ্রতিনিধি, জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মী, ধর্মীয় প্রতিনিধি, বন্দরগুলোতে দায়িত্বরত কর্মী, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মী, ব্যাংককর্মী, স্বল্প বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠী, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যারা কোভিডের সঙ্গে সম্পৃক্ত, শ্রমঘন প্রতিষ্ঠানের কর্মী (গার্মেন্ট), পরিবহন শ্রমিক, শ্রমঘন হাটবাজার-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মী, এতিমখানা এবং বিদেশগামী ও বিদেশফেরত সব ব্যক্তি।

আবুল কামাল আজাদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই বৈঠক হয়।বৈঠকে  চলমান প্রকল্পের আওতায় করোনার ভ্যাকসিন কেনা, সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য চার হাজার ২৩৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে রাজস্ব তহবিল থেকে ১২০০ কোটি টাকা দিয়েছেন।এই টাকা থেকে ৯ শতাংশ মানুষের জন্য (দেড় কোটি মানুষ) সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি তিন কোটি ভ্যাকসিন আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  এর বাইরে এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ৩১ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। তাদের টিকা দেওয়ার পর বাকি আরও ৪০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে।

আবুল কামাল আজাদ বলেন, ভর্তুকি মূল্যে কোভাক্স থেকে ভ্যাকসিন কিনে দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ, ( ৩ কোটি ৪৪ লাখ) মানুষকে দুই ডোজ করে দেওয়া হবে। এর জন্য ব্যয় হবে এক হাজার ১৭৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। প্রাপ্যতা সাপেক্ষে কোভাক্স অথবা অন্য কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে সরাসরি কিনে ১১ শতাংশ  (এক কোটি ৫৪ লাখ ৮০ হাজার) মানুষকে দুই ডোজ করে দেওয়া হবে। এর জন্য ব্যয় হবে দুই হাজার ২৬২ কোটি ৮ লাখ টাকা। এছাড়া ভ্যাকসিন পরিবহনে শিপিং খরচ ৬৭ কোটি ৮৬ লাখ, পরিবহন ও অপারেশনের জন্য ৩৮৪ কোটি ৬২ লাখ, সংরক্ষণ, কোল্ডচেইন ও সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনায় ৩৪৬ কোটি ৭৭ লাখ মিলিয়ে ভ্যাকসিন কেনায় ব্যয়