তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কঠোরতা আরোপ করা হবে

০৬ জানুয়ারী ২০২১

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর  প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ধাপে ধাপে কঠোরতা আরোপ করা হবে।গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা  (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা)’র একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই কথা বলেন। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি)  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোপূর্বে তামাক পণ্যের প্যাকেটে ছবি ব্যবহার ছিল না, সেটি করা হয়েছে। পাশাপাশি এক সময় বিমানসহ বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে ধূমপানের সুযোগ ছিল। আইন করে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনটি আরও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আইনের সংশোধনী আনা হচ্ছে।

বৈঠকে প্রজ্ঞা এবং আত্মা’র পক্ষ থেকে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্তসহ সব পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা; বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি বা সিএসআর কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা;  বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা এবং প্যাকেটবিহীন জর্দা-গুল বিক্রয় নিষিদ্ধ করা;  ই-সিগারেট এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস (এইচটিপি) এর মতো ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টগুলো আমদানি ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা এবং  সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধিসহ তামাকপণ্য মোড়কজাতকরণে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ প্রভৃতি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রস্তাব করা হয়। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন— সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, মর্তুজা হায়দার লিটন, মিজান চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম এবং প্রজ্ঞা’র হাসান শাহরিয়ার।

এমআই


মন্তব্য
জেলার খবর