রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে

০৭ জানুয়ারী ২০২১

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সরকারের মুল টার্গেট উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন,  এ বিষয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। প্রত্যাবাসন কীভাবে হবে তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। সেজন্য আমরা সবাই কাজ করছি। বুধবার (৬ জানুয়ারি)  নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বল প্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মি.খান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করারও সর্বাত্মক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেনাবাহিনী এবং এপিবিএনের দুটি ইউনিট কাজ করছে। একইসঙ্গে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও র‌্যাব কাজ করছে। মাদকসহ সব ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় পুলিশ মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। ক্যাম্পের বাইরে সেনাবাহিনী টহল দেবে। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে ১৪২ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া তৈরি করা হচ্ছে। কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। এতে রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। তাদের নিরাপত্তাও দেওয়া যাবে। তিনি জানান, মিয়ানমারে সংঘটিত অভ্যন্তরীণ দাঙ্গার কারণে ১৯৭৮ ও ৭৯ সালে, ১৯৯১ ও ৯২ সালে এবং ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে এই পর্যন্ত প্রায় ১১ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার ৩৫টি ক্যাম্পে অবস্থান করছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও সেনাবাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এমআই


মন্তব্য
জেলার খবর