মন্তব্য
ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী ও শিশুর শারীরিক পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত তথাকথিত ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তানের একটি আদালত। লাহোরের হাইকোর্ট সোমবার বিতর্কিত এই টেস্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রায় দেন।
টু ফিঙ্গার টেস্ট এক বহু পুরনো প্রচলিত পরীক্ষা। যেখানে মেডিকেল অফিসার ধর্ষণের পর নারীর বিশেষ অঙ্গে দুটি আঙুল ঢুকিয়ে কুমারিত্ব পরীক্ষা করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, ধর্ষণ প্রমাণে শারীরিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ পদ্ধতির কোনো বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তি নেই এবং এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এ পরীক্ষা থেকে রেপ সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানাও যায় না। এই টেস্টের মাধ্যমে নারীকে অপমানই করা হয়।
২০১৩ সালে ভারত এবং ২০১৮ সালে বাংলাদেশ তথাকথিত এই ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ পদ্ধতি নিষিদ্ধ করে।