আগামী ২৫ থেকে ৩১ অক্টোবর জনশুমারি অনুষ্ঠিত হবে। এই এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের সব মানুষকে গণনার আওতায় আনা হবে। সোমবার (১৮ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান । ২৩ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই জনশুমারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সেটা পিছিয়ে গেলো।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকারপ্রধানের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি পেছানোর জন্য। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জনশুমারি ও গৃহগণনা চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে শুমারির ব্লক এলাকা প্রণয়ন, জিআইএস পদ্ধতি ব্যবহার করে দেশের সব এলাকা ম্যাপ ও জিও কোডের আওতায় স্বতন্ত্র শনাক্তকরণ মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে শুমারি পরিচালনা, দেশের সব খানা, ব্যক্তি এবং আবাসন ইউনিট গণনা করা হবে। তৃতীয় ধাপে শুমারি পরবর্তী জরিপ পরিচালনা শুমারির গুণগত মান পরিমাপ করা হবে এবং চতুর্থ ধাপে আওতায় আর্থসামাজিক ও জনমিতিক জরিপ পরিচালনা খানা ও জনসংখ্যা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া এবারই প্রথম বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের (প্রবাসী) এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১-এর মাধ্যমে দেশের খানার সংখ্যা, খানায় বসবাসকারী সদস্যদের সংখ্যা, আর্থ-সামাজিক ও জনতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য নিরূপণ করা হবে। এসব তথ্য দেশের সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, নীতি নির্ধারণ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রসঙ্গত, ১০ বছর পর পর হয় আদমশুমারি ও গৃহগণনা। সর্বশেষ ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে আদমশুমারি হয়। সেই হিসাবে চলতি বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে নতুন শুমারির (ষষ্ঠ) পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল।
এমআই