বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আগামী মার্চ বা এপ্রিল মাসে শুরু হতে পারে।মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত এই রোহিঙ্গাদেরকে তাদের দেশে প্রত্যাবাসনে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।এমন আশার কথা বলেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। রোহিঙ্গাদের জন্য চীন সরকারের জরুরি চাল সহায়তাবিষয়ক অনলাইন সার্টিফিকেট স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন । বুধবার (২০ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ সরকার আশ্রয় দিয়েছে। যত তাড়াতাড়ি তাদেরকে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করানো যায়, ততই সবার জন্য মঙ্গল। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু। পদ্মা সেতুসহ অনেক বড় বড় স্থাপনা নির্মাণে চীন কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আমাদের পাশে রয়েছে।
সার্টিফিকেট স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহসিন এবং চীন সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং । অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- শরণার্থী প্রত্যাবর্তন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) শাহ রেজওয়ান হায়াত, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের যুগ্ম সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমারবিষয়ক মহাপরিচালক দেলোয়ার হোসেন প্রমূখ ।
এমআই