করোনাকালে ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়ে সমালোচকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক অন্যান্য কর্মচারীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে এই ব্যবস্থাগুলো আমরা নিতে বাধ্য হয়েছি। ক্লাস, পরীক্ষা- এগুলো করতে যেয়ে কেউ যদি আক্রান্ত হয়, তাহলে তার দায় দায়িত্ব কে নেবে? যারা সমালোচনা করেন এই পদ্ধতিতে রেজাল্ট দেওয়ার কারণে তারা নেবেন দায়িত্ব? শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এই প্রশ্ন রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দায় নিশ্চয়ই তারা নেবেন না, বরং নতুনভাবে সমালোচনা করবেন। এটাই আমাদের সবচেয়ে দুর্ভাগ্য- কিছু করতে গেলেই তার মধ্যে একটা খুঁত ধরা। কিন্তু এর ফলাফল কি হবে, সেটা তারা চিন্তা করেন না।
সরকার প্রধান আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা ভালো থাকুক সেটা আমরা চাই। এখন আরও আধুনিক প্রযুক্তি বেরিয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করে আমরা আমাদের জীবনমান উন্নত করবো। আগে কেউ এক বিষয়ে ফেল করলে পরের বছর সবগুলো বিষয়ে আবারও পরীক্ষা দিতে হতো। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরে সেই ব্যবস্থার পরিবর্তন করেছি। এক বিষয়ে ফেল করার কারণে একজন শিক্ষার্থীর এক বছর নষ্ট হবে কেন। এই পদ্ধতি চালু হওয়ার পরও অনেকে সমালোচনা করেছেন। কিন্তু এখন এর ফলাফল ভালোই হচ্ছে। আজকে যে রেজাল্ট দিলাম, সেটাও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে।
প্রসঙ্গত, করোনার জন্য পরীক্ষা ছাড়াই প্রকাশ করা হয়েছে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল। জেডিসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এই ফল প্রকাশ করা হয়। এই সংক্রান্ত আইন পাস হয়েছে জাতীয় সংসদে।
এমআই