বেকায়দায় পড়বে দেশ

১৩ জানুয়ারী ২০২২

দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। কয়েকদিন হচ্ছে প্রতিদিনিই  শনাক্তের সংখ্যা ও হার আগের দিনের শনাক্ত ও হারকে টপকিয়ে যাচ্ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে দেশ বেকায়দায় পড়বে- এমনটাই মনে করছেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এদিকে পরিস্থিতি আগেভাগেই নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এসব বিধিনিষেধ মানা, ঘরের বাইরে মুখে মাস্ক পরা ও করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেশবাসীকে আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ মহামারি থেকে জীবন বাঁচাতে করোনা প্রতিরোধী টিকা নেওয়ারও আহবান জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি সভাসহ একাধিক অনুষ্ঠানে এ আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।  

বুধবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকার মহাখালীতে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, কয়েক দিন আগেও সংক্রমণের হার ছিল দুইয়ের কাছাকাছি। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সেটা প্রায় ৯ শতাংশে পৌঁছেছে। তিনি জানান, হাসপাতালেও রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।  এভাবে হাসপাতালে তিন-চারগুণ রোগী হলে বেকায়দায় পড়তে হবে। হাসপাতাল ব্যবস্থা, চিকিৎসক-নার্সদের ওপর চাপ পড়বে, মৃত্যুর হারও বাড়বে। রোগী লাখ লাখ হলে তাদের জায়গা সংকুলান নিয়ে ভাবতে হবে। বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জন (বিসিপিএস) ভবনে অ্যাম্বুলেন্স ও ল্যাপটপ বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান হয়।

তবে করোনা প্রতিরোধী টিকা নেওয়ার কারণে এখনও মৃত্যু হার কিছুটা কম বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বলেছেন, দেশে টিকাদান কর্মসূচি ভালো চলছে। শিক্ষার্থীদেরও টিকাদান কর্মসূচি চলছে।  আরও এক কোটি ১৮ লাখ শিক্ষার্থীকে এ মাসের মধ্যে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।

অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতর বুলেটিনে জানিয়েছে, দেশে  আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে  দ্বিগুণ বেড়েছে করোনার রোগী। পরীক্ষা বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি, পরীক্ষা হয়েছে দেড় লাখ। করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৪৭৪ জনের। অথচ আগের সপ্তাহে এর চেয়ে ৬ হাজার রোগী কম শনাক্ত হয়। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ১৬৯ দশমিক ১২ শতাংশ রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ২০ শতাংশ। এ ৭ দিনে মারা গেছেন ২০ জন করোনা রোগী।

 বুলেটিনে বলা হয়, শতাংশের হিসাবে ৫-১১ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় দ্বিগুণ রোগী শনাক্ত হয়েছে। ৫ জানুয়ারি শনাক্ত ছিল ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, ১১ জানুয়ারিতে সেটা হয়েছে ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশে। ১ জানুয়ারি থেকে সংক্রমণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেবল একই ধারায় নয়, প্রোগ্রেসিভলিও বৃদ্ধি পাচ্ছে এ সংক্রমণ।  বুলেটিনে জানানো হয়, ডিসেম্বরে মাসে মোট ৪ হাজার ৫৮৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। অথচ জানুয়ারির ১১ দিনেই শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ৮৫০ জন।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর