মিরাজের সেঞ্চুরিতে ভর করে প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৪৩০ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ। জবাবে নিজেদের ইনিংস শুরু করে দিন শেষে ২৯ ওভারে ২ উইকেটে ৭৫ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের পতন হওয়া ২টি উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে ১০৩ রানে আউট হন মিরাজ। এছাড়া সাকিব আল হাসান ৬৮, ওপেনার সাদমান ইসলাম ৫৯ ও মুশফিকুর রহিম-লিটন দাস ৩৮ রান করে করেন।
আট নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করা চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলেন মিরাজ। এর আগে ২০০৪ সালে খালেদ মাসুদ, ২০১০ সালে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ২০১৩ সালে সোহাগ গাজী আট নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে সেঞ্চুরি করেছিলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ারিকান ১৩৩ রানে ৪টি উইকেট নেন। এছাড়া কর্নওয়াল ২টি, রোচ-গ্যাব্রিয়েল-বোনার ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
মিরাজের আউটের বাংলাদেশ ইনিংস শেষ হবার পরই চা-বিরতির ডাক দেন আম্পায়াররা। চা-বিরতি পর নিজেদের ইনিংস শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
প্রথম ৪ ওভার ভালোভাবেই কাটিয়ে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও জন ক্যাম্পবেল। পঞ্চম ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট শিকারের স্বাদ দেন একাদশের একমাত্র পেসার মুস্তাফিজ।
ক্যাম্পবেলকে(৩) লেগ বিফোর ফাঁদে ফেলেন মুস্তাফিজ। প্রথম উইকেট পতনের পর সর্তক হয়ে পড়েন ব্র্যাথওয়েট ও তিন নম্বরে নামা শায়নে মোসলে। তবে এই জুটিকে উইকেটে থিতু হতে দেননি মুস্তাফিজ। ২ রান মোসলেকে লেগ বিফোর আউট করেন ফিজ। ফলে দলীয় ২৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এরপর অবশ্য বাংলাদেশ বোলারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ব্র্যাথওয়েট ও বোনার। তৃতীয় উইকেটে ৫১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দিন শেষ করেন তারা। ব্র্যাথওয়েট ৪৯ ও বোনার ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের মুস্তাফিজ ১৮ রানে ২ উইকেট নেন। বল হাতে হাত উইকেট শুন্য ছিলেন দলের চার স্পিনার সাকিব-মিরাজ-তাইজুল ও নাইম।
স্কোর কার্ড :
বাংলাদেশ ইনিংস :
১৫০.২ ওভার, ৪৩০ রান, অল আউট
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংস :
২৯ ওভার, ৭৫ রান, ২ উইকেট।