চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের‘পুনঃশিক্ষণ’ কেন্দ্রে ধর্ষিত হওয়া তুরসুনে জিয়াউদুন নামে এক নারী বলেন, ‘‘তখন কোনো মহামারি চলছিল না কিন্তু ওই লোকজন সবসময়ই মুখোশ পরে থাকত। তারা স্যুট পরত, পুলিশের পোশাক নয়। কখনো কখনো তারা আসত মধ্যরাতের পরে। সেলের মধ্যে এসে তারা ইচ্ছেমতো কোনো একজন নারীকে বেছে নিত। তাদের নিয়ে যাওয়া হতো করিডোরের আরেক মাথায় ‘কালোঘর’ বলে একটি কক্ষে। ওই ঘরটিতে নজরদারির জন্য কোনো ক্যামেরা ছিল না।’’
তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েক রাতে তাকে এভাবেই নিয়ে গিয়েছিল ওরা। হয়তো এটি আমার জীবনে এমন এক কলঙ্ক- যা আমি কখনো ভুলতে পারব না।এসব কথা আমার মুখ দিয়ে বের হোক- এটাও আমি কখনো চাইনি। ওই সেলগুলো থেকে প্রতি রাতে নারীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হতো, তারপর মুখোশ পরা এক বা একাধিক চীনা পুরুষ তাদের ধর্ষণ করত। নিজে তিনবার গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। প্রতিবারই দুই বা তিনজন লোক মিলে এ কাজ করে।’
তিনি বলেন, ‘নির্যাতনকারীরা শুধু ধর্ষণই করত না, সারা শরীরে কামড়াত। আপনি বুঝবেন না যে তারা মানুষ না পশু। শরীরের কোনো অংশই তারা বাকি রাখত না, সব খানে কামড়াত আর তাতে বীভৎস সব দাগ হয়ে যেত।’
বিবিসি