ভাঙন-সংস্কার চলছে একযুগ

প্রতিবছরই ভেসে যায় লাখ লাখ টাকা!

০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের জোড়খলা আবোড়া বেড়িবাঁধের পেটফোলা অংশ।- সংবাদদাতা

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা

প্রতিবছরই মোটা টাকা খরচ হলেও কৃষকের কোনও কাজে আসছে না সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের জোড়খলা আবোড়া বেড়িবাঁধ। কারণ, হাওরের ফসল রক্ষায় নির্মিত বাঁধটির একটা অংশ প্রতিবছরই পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে ভেঙ্গে যায়, তলিয়ে যায় ফসল; প্লাবিত হয় অন্ততঃ ১৫ গ্রাম। এনিয়ে কৃষকের মাঝে বিরাজ করছে ক্ষোভ।

 

ভুক্তভোগী কৃষকসহ এলাকাবাসী মনে করছেন, বাঁধটির ‘পেটফোলা’ নামক অংশে একটি স্লুইস গেট নির্মাণ করলেই ফসল বাঁচানো সম্ভব।পেটফোলা অংশটিই প্রতিবছর ভাঙছে, এতে অকেজো হয়ে পড়ে বাঁধটি।

 

জানা যায়, প্রায় একযুগ আগে উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর ও নূরপুর এলাকায় বাধটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকে প্রতিবছরই বাধটি বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বন্যা শেষে সংস্কার করা হয়। আগের বছরগুলো বাদ দিয়ে শেষের ৪ বছরের খতিয়ান অনুযায়ী- ২০১৮ সালে বাধঁটি পূনঃনির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২০ লাখ টাকা, পরের বছর সংস্কারে ব্যয় ধরা হয় তেরো লক্ষাধিক টাকা, গত বছর পুনঃনির্মাণে বরাদ্দ ধরা হয় চব্বিশ লাখ টাকা এবং চলতি বছর পূন:নির্মাণে বরাদ্দ ধরা হয়েছে তেত্রিশ লাখ টাকা। বার বার ভাঙ্গনের ফলে কয়েক শ হেক্টর ফসলি জমিতে বালি পড়ায় বোরা আবাদ ব্যহত হচ্ছে। শুধু বোরো ফসলই নয়, প্লাবিত হচ্ছে সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর, নূরপুর, সোনাপুর, বৈঠাখাইসহ আশপাশের ১৫টি গ্রাম।

 

আলীপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম জানান, বার বার বাঁধ ভেঙ্গে ফসলি জমি ভরাট হয়ে চরে পরিণত হয়েছে। স্লুইস গেট ছাড়া এই বাঁধ টিকানোর কোনো বিকল্প নেই। পাউবোর দোয়ারাবাজার উপজেলা শাখার উপসহকারী শাখা কর্মকর্তা আবু সায়েম সফিউল ইসলাম জানান, জোড়খলা বেড়িবাঁধের পেটফোলা নামক অংশে স্লুইস গেইট নির্মাণের একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল। প্রস্তাবিত স্লুইস গেটটি খুব শীঘ্রই টেন্ডার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

এআর/এমআই


মন্তব্য
জেলার খবর