দেশে দীর্ঘদিন ধরেই বেদখল হয়ে আছে বন বিভাগের দুই লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮ দশমিক ৮৪ একর জমি। এসব জায়গায় শিল্প কারখানা, রিসোর্ট, বসতভিটা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়ছে,কৃষিকাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে। এক লাখ ৬০ হাজার ৫৬৬ জন ব্যক্তি এসব জমি দখল করে বসেছেন । রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন উত্থাপন করা হয়েছে।
প্রতিবেদন বলা হয়ছে, এসব দখলদারের মধ্যে ৮৮ হাজার ২১৫ জন এক লাখ ৩৮ হাজার ৬১৩ দশমিক শূন্য ৬ একর সংরক্ষিত বন, ৭২ হাজার ৩৫১ জন এক লাখ ১৮ হাজার ৫৪৫ দশমিক ৭৮ একর অন্যান্য (সংরক্ষিত ছাড়া) বন দখলে করেছেন।২৯৯ জন এক হাজার ৭২১ দশমিক ৮৯ একর জমিতে শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা নির্মাণ করেছেন। এর মধ্যে ১৭২ জন ৮২০ দশমিক ৩৪ একর সংরক্ষিত বন এবং ১২৭ জন ৯০১ দশমিক ৫৫ একর অন্যান্য বনের (সংরক্ষিত ব্যতীত) জমি দখল করেছেন। পাঁচ হাজার ৫৫৬ জন ১৩ হাজার ৪৩৫ দশমিক ১৯ একর বনের জমিতে হাটবাজার, কটেজ, রিসোর্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইত্যাদি স্থাপনা তৈরি করেছেন। এক লাখ ১০ হাজার ৮৩৬ জন এক লাখ ৮ হাজার ৪৫৭ দশমিক ৮৯ একর জমিতে ঘরবাড়ি তৈরি করেছেন। এছাড়া ৪৩ হাজার ৮৭৫ জন এক লাখ ৩৩ হাজার ৫৪৩ দশমিক ৬৭ একর বনের জমিতে কৃষি, বাগান, চারণ ভূমি, লবণ চাষ ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করছেন।
এদিকে এসব জমি উদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট সব জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ নাগাদ এসব জমির বড় একটি অংশ উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
এমকে