সপ্তাহ চারের আগের ছয় থেকে সাত মাস ভালো চলছিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), ঊর্ধ্বমুখী ছিল শেয়ারবাজারের লেনদেন। কিন্তু এই চার সপ্তাহে বলতে গেলে পতনের ধারায়-ই চলছে লেনদেন। কেবল গত সপ্তাহেই প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। সপ্তাহের দুই-একদিন উত্থান হলেও সার্বিকভাবে পতনের ধারা থেকে বের হতে পারেনি এই বাজার।ফলে আবারও হতাশায় ভুগছেন শেয়ারবাজারের বিনিয়েোগকারীরা।
তথ্য বলছে, টানা চার সপ্তাহের পতনে প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে বিনিযোগকারীরা। পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে কমেছে সবক’টি মূল্য সূচক। লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ৯ শতাংশ বাড়লেও ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমেছে প্রায় তিন শতাংশ। সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে এর পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছিল ৪ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। তার আগের দুই সপ্তাহে কমেছিল ৮ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা এবং ৯ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। অথচ তার আগে টানা সাত সপ্তাহের উত্থানে ডিএসইর বাজার মূলধন ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা বেড়েছিল।
ডিএসই’র তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহজুড়ে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৬২ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমেছিল ৭৬ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট । এর আগের দুই সপ্তাহে কমেছিল ১১১ দশমিক ৮২ পয়েন্ট ও ৭৩ দশমিক ১৩ পয়েন্ট। বাকি সবকটি মূল্য সূচকেরও পতন ছিল। গত সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারের দাম কমেছে ২৫২টির, দাম বেড়েছে ২৪টির আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৯১টির ।
এদিকে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)‘র পাশাপাশি ডিএসইও বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। শেয়ার বাজারে লেনদেনের জন্য ঘরে বসেই অনলাইনে বিও (বেনিফিশারি ওনার্স) হিসাব খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুশাসনের পাশাপাশি প্রবাসীদেরকে ও বহুজাতিক কোম্পানিকে বাজারে আনতে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে দুবাইয়ে চার দিনব্যাপী ‘রোড শো’র আয়োজন করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের বিখ্যাত দুবাই মলের কাছে স্কাইভিউ হোটেলে এই রোড শো হয়।
এমকে