চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠেয় দেশের ৫৫টি পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার সময়সীমা শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মধ্য রাতে শেষ হয়েছে। ভোট হবে আগামীকাল রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি), সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচন সুষ্ঠ করতে রিটার্নিং কর্মকর্তা, ডিসি, এসপিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নির্বাচন কমিশনাররা।আগে অনুষ্ঠিত তিনটি ধাপের নির্বাচনের প্র্রেক্ষাপটে ভোটের দিন সংঘাত কমাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অন্তত ১২টিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে মেয়র পদে ২২১ জন, কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৭৩ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর (মহিলা) পদে ৬১৮ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। ভোটার আছেন ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ লাখ ৪২ হাজার ৯৪৫জন ও নারী ৮ লাখ ৪৪ হাজার ১৫২ জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের ১৬৭টি মোবাইল ও ৫৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাবের ১৬৭টি টিম, প্রত্যেক পৌরসভায় গড়ে দুই প্লাটুন বিজিবি ও উপকূলীয় এলাকায় প্রতি পৌরসভায় এক প্লাটুন কোস্টগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। ৫০১ জন নির্বাহী ও ৫৫ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকছেন। ভোটের দিন কেন্দ্রের পাহারায় অস্ত্রসহ ৩ হাজার ১৭২জন পুলিশ সদস্য ও ৫ হাজার ৫৫১জন আনসার সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন।
৩ জানুযারি চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করে ইসি। এই ধাপে পরে যুক্ত হয় সোনাইমুড়ি ও ত্রিশাল পৌরসভা। হাইকোর্টের আদেশে নাটোর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ফেনীর পরশুরাম পৌরসভায় সব পদেই একাধিক প্রার্থী না থাকায় সেখানে ভোটের প্রয়োজন হবে না। সহিংসতার ঘটনায় মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার ভোট স্থগিত করা হযেছে। সামনের নির্বাচনগুলোতে বড় ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটবে না বলে আশা করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)কেএম নুরুল হুদা। বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে এমন আশা প্রকাশ করেন। বলেন, আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি আছে। কমিশনের ব্যবস্থাপনার দিক থেকে যা যা দরকার, সেগুলো ঠিকঠাক করেছি।
এমকে